রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত একটি বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক দুর্নীতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাঁর পোস্টে দাবি করা হয়েছে, একসময় আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাতিসম্পন্ন এই লজ্জাজনক অবনতির শিকার। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার সময় থেকেই এখানে চুরি, দুর্নীতি ও অদক্ষতা বিদ্যমান, যার ফলে নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা এখানে ভর্তি হতে অনিচ্ছুক।
প্রাক্তন বিধায়ক তাঁর পোস্টে রায়গঞ্জের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানান, “আমরা সবাই মিলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আবারও উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেব—কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না।” তাঁর এই বক্তব্য রায়গঞ্জ জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

অন্যদিকে, মোহিত সেনগুপ্তের অভিযোগের জবাবে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কবি সুভাষ ওঝা এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক আখ্যা দিয়েছেন। ওঝা বলেন মোহিতবাবু একজন প্রবীণ নেতা হয়েও কীভাবে এমন অপ্রমাণিত দাবি করতে পারেন? এটি ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। তিনি আরও যোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছে এবং এ ধরনের সমালোচনা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র মাত্র।
এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থান, অতীত গৌরব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ইস্যুটি শীঘ্রই রাজনৈতিক রূপ নিতে পারে।