Live Button LIVE

শ্রমিকদের আন্দোলন: ভদ্রকালী চা বাগান বিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ 

দিনের পর দিন শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছেন কোথাও বাদশা বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, কোথাও ছাদবাগান টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে বহু শ্রমিকের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে। একই রকম সংকট দেখা দিয়েছে ভদ্রকালী চা বাগান নিয়ে। শ্রমিকদের অভিযোগ, বারবার এই বাগান বিক্রির চেষ্টা চলছে, যা তাদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করছে।  

গত রবিবার ভদ্রকালী চা বাগানের শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে একটি গেট মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামপুর ব্লকের এই বাগানটি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার বিক্রির চেষ্টার শিকার হয়েছে। শ্রমিকরা জানান, আগে বাগানের জমির পরিমাণ ছিল ৮৮১ একর কিন্তু এখন মাত্র ৪৩০ একর অবশিষ্ট রয়েছে। বাগানে কর্মরত প্রায় ৪০০ শ্রমিক তাদের কাজ ও বাসস্থান নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে।  

মিটিংয়ে শ্রমিক নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাগান বিক্রি হতে দেওয়া হবে না তারা হুশিয়ারি দিয়েছেন, যদি আবারও বাগান বিক্রির কোনো চেষ্টা করা হয়, তাহলে তা বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নেবে। ভদ্রকালী গেটের সামনের এই সমাবেশে স্থানীয় গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, বাগান বিক্রি হচ্ছে না, কিন্তু শ্রমিকদের অবিশ্বাস ও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।  

শ্রমিকদের মূল দাবি  

চা বাগানের জমি আর কাটছাঁট করা যাবে না।  

বাগান বিক্রির সমস্ত পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।  

শ্রমিকদের কাজ ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে।  

এই সংকট কেবল ভদ্রকালীর নয় গোটা চা শিল্পেই শ্রমিকরা এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের আন্দোলন শুধু একটি বাগানের জন্য নয়, বরং সমস্ত চা শ্রমিকের অধিকার ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এক জোরালো প্রতিবাদ।

Share:

WhatsApp
Telegram
Facebook
Twitter
LinkedIn