ইসলামপুরের গাইসাল স্টেশনে শিলিগুড়ি-মালদা ডিএমইউ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ইঞ্জিনে হঠাৎ ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও ধোয়া দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নামে। এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের জেরে গন্দরিয়া এলাকায় একটি রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেওয়া হয়, যাত্রীদের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়।

ঘটনাস্থলে জাতীয় সড়কের পাশে ভিড় জমে উঠলে পথচারী ও স্থানীয়রা ঘটনার বিবরণ জানতে আগ্রহী হন। ইসলামপুর থানা পুলিশ দ্রুত রেললাইনে ভিড় জমা হওয়া লোকজনকে সরিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পাশাপাশি, বেলেট-কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে যাত্রীদের গাইসাল স্টেশনে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ইঞ্জিনচালকই প্রথম আগুন লক্ষ্য করেন। দ্রুত যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে ট্রেনটি পরিদর্শন করা হয়। পরে, তদন্তের জন্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটি সরিয়ে নেওয়া হলেও এখনও অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানা যায়নি। রেল কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন এবং বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করতে যাত্রীদের সুবিধার্থে কাজ করছেন।

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে, বিশেষ করে রেল নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল বাহিনীর দ্রুত সাড়া প্রশংসা পেলেও, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন যাত্রী ও স্থানীয়রা।